ঢাকা,বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

১০ ইউপির ৭টিতে বিদ্রোহী

চকরিয়ায় নৌকা ডুবির আশংকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চকরিয়ার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এগুলোতে নৌকা প্রতীকের একক প্রার্থী দেয়া হয়েছে। তবুও ৭ ইউনিয়নে নির্বাচন করছেন সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরপরও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব প্রচারণায় রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এতে নির্বাচনের ফলাফল বিএনপি-জামায়াতের ঘরে চলে যেতে পারে বলে দাবী করছেন দলের নেতাকর্মীরা। চকরিয়ায় ৭ ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে নৌকা ডুবির আশঙ্কায় রয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীরা।
অবশ্য সম্প্রতি বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে চুড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে। জেলা আওয়ামী লীগ এ ধরনের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিলেও তা আমলে নিচ্ছে না বিদ্রোহীরা।
পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা অভিযোগ করেন, তাঁর বিজয় ঠেকাতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা যুবলীগের সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল এহেছান লিটন। অন্য ইউনিয়নে বিদ্রোহীদের আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলেও আমার ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী রবিউল এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। যুবলীগের অনেক নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী রবিউলের পক্ষে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
কাকারায় নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শওকত ওসমান অভিযোগ করেছেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন। নৌকার বিজয় ঠেকাতে তৎপর রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাহাব উদ্দিন।
একইভাবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে সহ-সভাপতি সাইকুল ইসলাম, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে সদস্য আফজালুর রহমান চৌধুরী, কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিদারুল হক সিকদার, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান সোহেল, বদরখালী ইউনিয়নে মাতামুহুরী আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
তবে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীর বক্তব্য হচ্ছে, দলের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে সবকিছু যাচাই করা হয়নি। জনসমর্থন নেই এমন প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছে। তাই তাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া আ.লীগের সভাপতি ও সাংসদ জাফর আলম বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছাড় দেয়া হবে না।

পাঠকের মতামত: